কক্সবাজারে মহেশখালীর সোনাদিয়া সৈকত থেকে জাতিসংঘ কর্মকর্তা সোলিমান মুলাটের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একই কার্যালয়ে কর্মরত এক দম্পতিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তা জাফরীন আফসারী ও তাঁর স্বামী রবিনকে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার মডেল থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৫৪ ধারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল পয়েন্টে জেলেদের জালে সোলেমান মুলাটার মৃতদেহ আটকা পড়ে। এরপর ওইদিন বিকেলে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার অভিজাত হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইজ থেকে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফরিদ চৌধুরী দাবি করেন, ‘উদ্ধার হওয়া সোলেমান মুলাটারর মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তবে ওই দম্পতিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার বিষয়টি এসেছে। সেটি মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, যদিও মুলাটার মৃত্যুর ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার সকাল থেকে ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার কার্যালয়ের শরণার্থী সুরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা ইথিওপিয়ার নাগরিক সুলেমান মুলাটা নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গত বৃহস্পতিবার জেলেদের জালে সুলটার মৃতদেহ আটকা পড়ে। পরে মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া কিছু নথি দেখে তাঁর পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ। মৃতদেহটির মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর ফুলেফেঁপে বিকৃত হয়ে গেছে। তাঁর মৃতদেহ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল পয়েন্টে জেলেদের জালে জাতিসংঘের কর্মকর্তা সোলেমান মুলাটার মৃতদেহ আটকা পড়ে।